জৈর্ব বিবর্তন বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত / স্বপন ও রাসেল
জীবজগত এবং এর সাথে সম্পর্কিত বিষয় গুলোর উৎপত্তি এবং বিকাশ সম্পর্কে মানুষের সে সকল মৌলিক প্রশ্ন এবং অনুসন্ধিৎসা রয়েছে তা মেটানোর ক্ষেত্রে বিজ্ঞানের যে শাখাটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং সফল সেটি হচ্ছে জৈববিবর্তনবাদ বা বিবর্তনমুলক জীব-বিজ্ঞান। জীববিজ্ঞানের ইতিহাসে জৈববিবর্তনের আবিষ্কার ও অপরিহার্যতা আজ বিশ্বজনীন। জীবনের উদ্ভব, বিকাশ, পরিবর্তনের নিয়ম সহ জীবের বিভিন্ন মৌলিক প্রবণতাকে অনুধাবনের ক্ষেত্রে জৈববিবর্তন আধুনিক জীব বিজ্ঞানের এক অপরিহার্য অংশ। একে বাদ দিয়ে জীববিজ্ঞান সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রশ্ন ও সমস্যার গভীরে পৌছানো সম্ভব নয়। তাই আমাদের জাগতিক বোধের বিকাশের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় জৈববিবর্তনের পাঠ। গত ০৭-০৪-২০১১ ইং তারিখে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল ‘জৈববিবর্তনঃ ভিত্তি, যৌক্তিকতা ও বিতর্ক’ শিরোনামে একটি কর্মশালা। কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয় ঐতিহ্যবাহী কারমাইকেল কলেজের অন্নদামোহন মিলনায়তনে। কর্মশালাটি আয়োজন করে বিজ্ঞানচেতনা পরিষদ, কারমাইকেল কলেজ শাখা, রংপুর।
এতে প্রশিক্ষক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন-ডাঃ মনিরুল ইসলাম (কচি) এবং ডাঃ মাহাবুবর রহমান। উপাধ্যক্ষ প্রফেসর সৈয়দা সাহারা ফেরদৌসের উদ্বোধনী বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে কর্মশালাটি শুরু হয় সকাল ৯.০০ টায়। মূল অনুষ্ঠানটি পরিচালিত হয় পাঁচটি খন্ডে। প্রথম খন্ডে অবতরনিকায় দার্শনিক পূর্বকথন বক্তৃতা করেন মনিরুল ইসলাম। তিনি দর্শন পূর্বকথন ও জৈববিবর্তনের ইতিহাস ধারাবাহিকভাবে বর্ণনা করেন। অনুষ্ঠানটি চলাকালীন সময়ের মাঝখানে-চা বিরতি ও দুপুরের খাওয়ার বিরতি ছাড়া প্রশিক্ষকদ্বয় প্রতিটি খন্ডে তাদের বক্তব্য ধারাবাহিক ভাবে পেশ করেন। প্রতিটি খন্ডে বক্তব্য রাখার পর অংশগ্রহণকারীদের জন্য উন্মুক্ত প্রশ্ন করার সুযোগ দেওয়া হয়। প্রশিক্ষকদ্বয় অংশগ্রহণকারীদের প্রশ্নের সাবলীলভাবে সমাধান দিতে সমর্থ হন।
প্রশ্নত্তোর পর্বের শেষে অংশগ্রহণকারীদের মাঝে সনদ পত্র বিতরণ করা হয়। কর্মশালাটিতে আরও উপস্থিত ছিলেন এনামুল হক, সহযোগী অধ্যাপক দর্শন বিভাগ, বেগম রোকেয়া সরকারী কলেজ। গাইবান্ধা সরকারি কলেজের দর্শন বিভাগের অধ্যাপ জনাব আব্দুল কাদের, চিনু কবীর, সহকারী অধ্যাপক দর্শন বিভাগ, ঠাকুরগাও সরকারী কলেজ, কমরেড শাহীন রহমান, কমরেড আব্দুল কুদ্দুস এবং বিজ্ঞানচেতনা পরিষদের কারমাইকেল কলেজ শাখার বর্তমান ও সাবেক কর্মীবৃন্দ।
বিজ্ঞানচেতনা পরিষদ কারমাইকেল কলেজ শাখার আহবায়ক রায়হান কবীরের সমাপনী বক্তব্যের মধ্য দিয়ে কর্মশালাটি শেষ হয় বিকাল ৬:৩০ মিনিটে।
বিবর্তন বিষয়ক বই এর তালিকা
১. মানুষের ঠিকানা- অমল দাশগুপ্ত।
২. পৃথিবীর ঠিকানা- অমল দাশগুপ্ত।
৩. প্রজাতির উৎপত্তি- চার্লস ডারউইন, অনুবাদ: ম.আখতারুজ্জামান।
৪. বিবর্তনবিদ্যা- ম. আখতারুজ্জামান।
৫. ডারউইন: বিগল যাত্রীর ভ্রমনকথা- দ্বিজেল শর্মা।
৬. চার্লস ডারউইন ও প্রজাতির উৎপত্তি- দ্বিজেন শর্মা।
৭. যে গল্পের শেষ নেই, দেবীপ্রসাদ চটোপাধ্যায়।
৮. কোথা থেকে কেমন করে এলাম- তপন চক্রবর্তী।
৯. জীবের ক্রমবিকাশ- মৃত্যুঞ্জয় প্রসাদ গুহ।
১০. বিবর্তনের পথ ধরে- বন্যা আহমেদ।
No comments